সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় প্রায় হাজার বিঘা সম্পত্তি বেশ কয়েক বছর যাবৎ বেদখল দিয়েছে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী ও তার দলীয় বাহিনী। ফলে নিজেদের বাপ-দাদার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত প্রায় কয়েকশ মানুষ দীর্ঘদিন যাবৎ মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
দলীয় বাহিনী এমন প্রভাবশালী যে, কিছু বললেই তাদের ধরে নিয়ে গিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় অত্যাচার করে মুচলেকা নিয়ে তারপর ছেড়ে দেয়। জমিতে গেলে তাদের মারপিট করে তাড়িয়ে দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়কে বলেও কোন সুরহা পাননি ভূক্তভোগীরা।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার নিশ্চিন্তপুর মৌজার বারজান ভেটুয়াখোলা গ্রামের দুই হাজার বিঘা জমি তাদের প্রকৃত মালিকেরা ভোগ-দখল করে আসছিলেন। বেশ কয়েক বছর যাবৎ সেইসব জমি এলাকার কুখ্যাত ডাকাত আবদুল হাই, শিক্ষক জামাল শিকদার ও সরিষাবাড়ির পোগলদিঘা ইউনিয়নের শিপন মিয়া মিলে জমিগুলো দখলে নিয়ে চাষাবাদ করে আসছে। তারা এই কাজের জন্যে মোটা অংকের একটা অর্থ বছরে খলিলুর রহমান সিরাজী কে দেন বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই জমির মালিকের অনেকেই। তারা জানান, কিছু বললেই আব্দুল হাই ডাকাতরা দলবেধে এসে আমাদের নির্যাতন করে। অথচ জমিগুলো পুরুষাণুক্রমে আমাদের। আমরা চাষাবাদ করে আসছিলাম।
ভুক্তভোগী স্বপন, সুরুজ, কাকাশে, খোকনসহ অনেকেই এসব কথা জানান। তারা জানান, আমাদের বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও দলীয় প্রভাব ও ক্ষমতার ভয় দেখিয়ে আমাদের কোণঠাসা করে রাখে। আমাদের জমিতে যেতে দেয় না। বিষয়টি নিয়ে আমরা সাবেক এমপি তানভীর শাকিল জয় সাহেবকে জানিয়েও কোন ফল পাইনি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জমির সঠিক মালিকগণ তাদের জমি ফেরত পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে স্বৈরাচার আওয়ামিলীগ সরকারের পতনের পর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছে এসব ভূমিদস্যুরা।
এ বিষয়ে কথা বলতে মুঠোফোনে একাধিকবার আবদুল হাই ও খলিলুর রহমান সিরাজীকে ফোন করেও পাওয়া যায়নি।