সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে ৭জন বিএনপি নেতার নামে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ আমলি আদালতে মামলাটি করেছেন রানা আহমেদ নামের এক ভুক্তভোগী।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তা এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বাদী একই উপজেলার পাঁচগাছি গ্রামের নবীর হোসেন মন্ডলের ছেলে রানা আহমেদ।

মামলার আসামিরা হলেন কাজিপুর উপজেলার পাঁচগাছি গ্রামের মৃত আবুল সরকার ও সোনামুখী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি দোলা সরকার (৫০), একই গ্রামের বুলবুল সরকারের ছেলে আবু বাসির(৩৭), সোনামুখী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও দোলা সরকারের ছেলে সবুজ সরকার(২৫), পোক্কা সরকারের ছেলে মনি সরকার(২৮), নজরুল ইসলামের ছেলে সোহেল রানা(৩২),মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে মোঃ মাহিম (৩০), সোনামুখী গ্রামের মৃত সোলেমানের ছেলে হান্নান সরকার(৩০),

বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা জজ আদালতের আইনজীবি আব্দুর রহিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আরজিতে বাদী রানা আহমেদ উল্লেখ করেন, আসামিরা আমার মেসার্স মেহেনেত ট্রেডিং এর দোকানে ককটেল, রামদা চাইনিজ কুরাল,লোহার রড,শাবল,ফালা দিয়ে আমার উপর হামলা চালায়,এবং আমার দোকানের ফ্রীজ, এসি, ইলেকট্রনিকস পন্য লুট করে নিয়ে যায়, লুট করে নিয়ে যাওয়ার সময় আমার দোকান তালা বদ্ধ ও ইলেকট্রনিক মেশিন দিয়ে ঝালাই করে দিয়ে যায়, যার আনুমানিক মুল্য প্রায় ১০ লক্ষ, আমি আমার প্রাণ রক্ষায় দোকান থেকে পালিয়ে যাই,এখনো আত্মগোপনে আছি,

বাদী রানা আহমেদ আরো বলেন, আমি বিভিন্ন সময় এলাকার মুরুব্বির মাধ্যম তাদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোনো কুল কিনারা করতে পারি নাই, বিএনপি নেতা দোলা সরকার আমার মুঠো ফোনে চাঁদা দাবি করে এবং চাঁদা না পেলে আমাকে প্রাননাশের হুমকি প্রদান করে, তাই সঠিক বিচারের জন্য আদালতে মামলা দায়ের করেছি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে সোনামুখী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি দোলা সরকার ও অন্য আসামিদের সাথে বারবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। এ কারণে তাদের মন্তব্য পাওশা যায়নি।