বীরগঞ্জে তৃতীয় লিঙ্গের সাথী আক্তার গোলাপগঞ্জের ব্যবসায়ী নুরুল ইসলামের ছেলে ইজারাদার মোশারফ হোসেন এর সাথে ইসলামী শরীয়ত মতে ইংরেজি ২০১৮ সালে বিবাহ হয় কিন্তু বিবাহের পর থেকে যৌতুক লোভী স্বামী, অন্যের সম্পদ গ্রাসী মোশারফ, তার স্ত্রী সাথীর উপর সীমাহীন অত্যাচারসহ ব্যাপক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন বলে জানান সাথী।
সাথী আক্তার মাহাতাবপুর মৌজায় নিজ বাড়িতেই বসবাস এবং এলাকায় অন্যান্য হিজরাদের মতই তার জীবন পরিচালনা করেন। স্বামী-স্ত্রী বনিবনাত না হওয়া এবং অশান্তির কারনে উভয়ের মধ্যে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।
সাথী আক্তার বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টায় আশরাফুলের চাউলের দোকানের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময়, মোশাররফ ডাক দিয়ে বলে মামলা আপোষ করো তোমার ভালো হবে। তানা হলে তোমার গর্দান কাটে ফেলবো আপোষ করার অস্বীকার করলে, কোথা কাটাকাটিতে মারামারি পর্যায়ে দাঁড়ায়, আমাকে চুলের ধরে নিচে ফেলে লাঠি দিয়ে পেটানো শুরু করে ও ডান হাতে কামড় দিয়ে আহত করে পরবর্তীতে আনোয়ার নামে একজন আমাকে উদ্ধার করে, রাত ১১ঃ০০ টায় বীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে দেন বর্তমান চিকিৎসাধীন।
এ বিষয়ে মোশাররফের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন শুক্রবার সন্ধ্যায় দুজনের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তার পর আমি আমার ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় আসি।