ঠান্ডায় কাবু রাজারহাটের প্রতিটি জনজীবন।বিকাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশজুড়ে নেমে আসে শীতের চাদর। গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে তাপমাত্রা নিম্নগামী থাকায় অনেকটাই ব্যহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। এতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষজন।শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে কৃষি শ্রমিক ও স্বল্প আয়ের খেটে খাওয়া ছিন্নমুল মানুষেরা।
তীব্র ঠাণ্ডায় অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টাও করছেন। দিনের বেলা তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও সন্ধ্যার পর থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত তীব্র শীত অনুভূত হয়। রাজারহাট উপজেলার উমরমজিদ ইউনিয়নের কৃষি শ্রমিক সুধীর চন্দ্র রায় বলেন জমিতে চারা তৈরির জন্য ধান ছিটাচ্ছি। কিন্তু এতো ঠাণ্ডা যে কাদা পানিতে পা রাখা যাচ্ছে না। ঠাণ্ডার কারণে ঠিকমত কাজ করতে পারছি না। শীতের কাপড় কম থাকায় রাতে বউ বাচ্চাসহ শীত কষ্টে ভূগছি।
অটোরিকশা চালক রবিউল ইসলাম ও মোজাম্মেল হোসেন বলেন,সকালে হেডলাইট জালিয়ে অটো চালাতে হয়।অতিরিক্ত ঠান্ডায় যাত্রী কম হয়।রুটিরুজির জন্য কনকনে ঠান্ডা ও শীতে গাড়ী নিয়ে বেড়েয়েছি। ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নে আলু পরিচর্যায় নিয়োজিত শ্রমিক হামিদুল ইসলাম বলেন শীত ও কনকনে ঠান্ডায় পেটের দায়ে কাজে যোগদান করি,পা মাটিতে রাখতেই শরীর হিম হয়ে যায়।কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন,আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।